ঢাকা, ১০ আগস্ট : রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বী কয়েক হাজার মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে প্রতিবাদী ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন। হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে টানা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অবরোধকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে তারা অবস্থান করে বিভিন্ন দাবি জানাচ্ছেন।
‘সেভ দ্য হিন্দুস’, ‘আমার ভাই মরল কেন-জবাব চাই’, ‘আমার মন্দির-আমার বাড়ি লুটপাট কেন? জবাব চাই-জবাব চাই’ এ ধরনে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানান। স্লোগানের পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে তারা বক্তৃতা করতে থাকেন। দুপুরে আগ থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শাহবাগে জড়ো হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শাহবাগ মোড়ের চারপাশে হাজার হাজার মানুষ স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে। এক পর্যায়ে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্দোলনের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও।
এই বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে আটদফা দাবি তুলে ধরেন তারা। তাদের ঘোষিত আটদফা দাবিগুলো হলো—
১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
২, অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৩. সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা।
৪. হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা।
৫. দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করা।
৬. প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করা।
৭. সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন করা।
৮. শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দেয়া।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan